সৌদি বিজনেস কনসালটেন্ট

সৌদি বিজনেস কনসালটেন্ট একটি পেশাদার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান, যা সৌদি আরবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠা, বিনিয়োগ লাইসেন্স সংগ্রহ, এবং বিভিন্ন আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় সহায়তা প্রদান করে। আমাদের বিশেষজ্ঞ দল বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যবসায়িক পরিবেশকে সহজ, ঝামেলামুক্ত ও কার্যকর করে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে।

আমাদের লক্ষ্য:আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল সৌদি আরবে বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা পরিচালনার প্রক্রিয়াকে সহজতর করা। বিনিয়োগ অনুমোদন থেকে শুরু করে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন, ওয়ার্ক পারমিট, বাৎসরিক অডিট এবং ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদানই আমাদের অঙ্গীকার।

জাতীয় টিভিতে সৌদি বিজনেস কনসালটেন্টের খবর

আমাদের প্রতিষ্ঠান সমূহ

প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্ন উত্তর

সৌদি ইনভেস্টমেন্ট লাইসেন্স হল একটি সরকারী অনুমোদন, যা মিনিস্ট্রি অফ ইনভেস্টমেন্ট (MISA) (পূর্বে SAGIA নামে পরিচিত) কর্তৃক প্রদান করা হয়। এটি বিদেশি বিনিয়োগকারী ও কোম্পানিগুলোকে সৌদি আরবে ব্যবসা স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি দেয়। সৌদি বাজারে প্রবেশ করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত, যা ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী ১০০% বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, যৌথ উদ্যোগ (joint venture) বা বিদেশি কোম্পানির শাখা হতে পারে। এই লাইসেন্স সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার অংশ, যা বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (FDI) আকৃষ্ট করে দেশের অর্থনীতিকে তেল নির্ভরতা থেকে বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্য নিয়েছে।
সৌদি আরবে অনেক প্রবাসী ব্যবসায়ী কফিলের নামে ব্যবসা পরিচালনা করেন, যা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ব্যবসার লভ্যাংশ ও লেনদেন কফিলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়ায় আসল নিয়ন্ত্রণ কফিলের হাতে চলে যায়। কফিলের নামে ব্যবসার ঝুঁকি: মালিকানা নিয়ন্ত্রণের অভাব – ব্যবসার আইনি মালিক কফিল হওয়ায় আপনি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। টাকা আত্মসাতের ঝুঁকি – অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কফিল ব্যবসার টাকা নিজের কাজে ব্যবহার করেছে বা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করেছে। আইনি জটিলতা – কফিলের নামে লেনদেন হওয়ায় কোনো বিরোধ দেখা দিলে আইনি সমাধান পাওয়া কঠিন হয়। নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা: ✔ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ – আপনার ব্যবসার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকবে, ফলে লেনদেন সরাসরি আপনার কোম্পানির অ্যাকাউন্টে হবে। ✔ সীমাহীন লেনদেন – ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো কোনো লেনদেন সীমা থাকবে না। ✔ কর্মীদের সরাসরি বেতন প্রদান – আপনি নিজেই WPS (Wage Protection System) অনুযায়ী কর্মীদের বেতন দিতে পারবেন। ✔ আইনি সুরক্ষা ও স্বচ্ছ লেনদেন – আপনার সব লেনদেনের রেকর্ড থাকবে, যা ভবিষ্যতে আইনি সুরক্ষা দেবে। --- ৩. নিজের নামে কর্মী নিয়োগ: পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীনতা সৌদি আরবে অনেক প্রবাসী কফিলের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করেন, যা অতিরিক্ত খরচ ও ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তবে, MISA-এর ইনভেস্টমেন্ট লাইসেন্স থাকলে, আপনি নিজের নামে কোনো কফিল ছাড়াই কর্মী নিয়োগ ও আকামা ইস্যু করতে পারবেন। কেন নিজেই কর্মী নিয়োগ করবেন? আকামা স্পনসরশিপ নিয়ন্ত্রণ – আপনার ব্যবসার নামে আকামা ইস্যু ও নবায়ন করতে পারবেন। নিয়োগের স্বাধীনতা – যেকোনো দেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগ করা যাবে। অতিরিক্ত খরচ ও ঝুঁকি কমানো – কফিলের কমিশন বা শর্ত মেনে চলতে হবে না। আইনি সুরক্ষা ও সরকারি সুবিধা – কর্মীরা সরকারি নীতিমালার অধীনে থাকবে, যা ব্যবসার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে। নিজের নামে কর্মী নিয়োগের সুবিধা: ✔ ব্যবসার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত হয়। ✔ আকামা, ভিসা ও কর্মী ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। ✔ শ্রম আইন মেনে সরাসরি কর্মী নিয়োগ করা সম্ভব হয়। --- ৪. নিজের ও পরিবারের ভিসা নিজেই ইস্যু করার সুবিধা সৌদি আরবে অনেক প্রবাসী ব্যবসায়ী কফিলের ওপর নির্ভরশীল থাকেন, যার ফলে পারিবারিক ভিসা প্রসেসিং জটিল হয়ে পড়ে। কিন্তু MISA-এর ইনভেস্টমেন্ট লাইসেন্স থাকলে, আপনি নিজের ও পরিবারের ভিসা নিজেই ইস্যু করতে পারবেন। কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? নিজের স্পনসরশিপে আকামা পাওয়া যাবে – কফিলের ওপর নির্ভর করতে হবে না। পরিবারের জন্য স্পনসর ভিসা ইস্যু করতে পারবেন – স্ত্রী, সন্তান ও নির্ধারিত আত্মীয়দের জন্য ভিসা পাওয়া সহজ হবে। ব্যবসায়িক ভিসা ও ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করা যাবে – কর্মীদের জন্য আকামা ও ভিসা প্রসেস সহজ হবে। আইনি সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ – নিজের নামে ভিসা ইস্যু করলে সবকিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সৌদি ইনভেস্টমেন্ট লাইসেন্স থাকার ফলে আপনি ১০০% মালিকানা, নিজের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, কর্মী নিয়োগ ও পরিবারের ভিসা ইস্যু করার সুবিধা পাবেন। এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসা সম্পূর্ণ স্বাধীন ও ঝুঁকিমুক্ত হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে আপনার সাফল্য নিশ্চিত করবে।
সৌদি আরবে মূলত দুই ধরনের ইনভেস্টর লাইসেন্স রয়েছে, যা ব্যবসার প্রকৃতি ও কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়। ১. সার্ভিস লাইসেন্স (Service License) এই লাইসেন্সটি পরিষেবা ভিত্তিক ব্যবসাগুলোর জন্য প্রযোজ্য। সাধারণত পরামর্শক, প্রকৌশল, আইটি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, মার্কেটিং, লজিস্টিকস, এবং অন্যান্য পেশাগত পরিষেবার জন্য এই লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। ✅ যেসব ব্যবসার জন্য প্রযোজ্য: পরামর্শক সংস্থা (Consulting Firms) – আইন, ট্যাক্স, ফিন্যান্স, ম্যানেজমেন্ট পরামর্শ। প্রকৌশল ও ডিজাইন ফার্ম (Engineering & Design Services) – আর্কিটেকচার, নির্মাণ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা। তথ্যপ্রযুক্তি (IT & Software Services) – সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ক্লাউড সল্যুশন, সাইবার সিকিউরিটি। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবা (Healthcare & Education Services) – হাসপাতাল, ক্লিনিক, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। মার্কেটিং ও মিডিয়া এজেন্সি (Marketing & Advertising Agencies) – ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং, মিডিয়া প্রোডাকশন। ✅ সুবিধা: ১০০% বিদেশি মালিকানা অনুমোদিত। সহজ লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া ও দ্রুত অনুমোদন। সরকারি ও বেসরকারি খাতে চুক্তির সুযোগ। --- ২. ট্রেডিং লাইসেন্স (Trading License) এই লাইসেন্সটি ক্রয়-বিক্রয় ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য প্রদান করা হয়। যারা সৌদি আরবে আমদানি, রপ্তানি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা পরিচালনা করতে চান, তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য। ✅ যেসব ব্যবসার জন্য প্রযোজ্য: ই-কমার্স ও খুচরা বিক্রয় (E-commerce & Retail Business) – অনলাইন স্টোর, সুপারমার্কেট, ফ্যাশন স্টোর। আমদানি-রপ্তানি (Import & Export Business) – ইলেকট্রনিক্স, খাদ্য, নির্মাণ সামগ্রী। হোলসেল ও ডিস্ট্রিবিউশন (Wholesale & Distribution) – গাড়ি, অটোমোবাইল পার্টস, কনজিউমার গুডস। মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ডস (Franchise & Brand Expansion) – আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সৌদি শাখা। ✅ সুবিধা: ১০০% বিদেশি মালিকানায় ট্রেডিং ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ। সৌদির বিশাল বাজারে প্রবেশের অনুমতি। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও সরবরাহ চেইনের সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ।
সার্ভিস লাইসেন্সের জন্য খরচ: প্রথম বছর: সকল ডকুমেন্টস, সরকারি ফি এবং সৌদি বিজনেস কনসালটেন্ট এর সার্ভিস চার্জ মিলিয়ে ৩৪,০০০ রিয়াল। পরবর্তী বছর থেকে: সরকারি নবায়ন ফি ৬২,০০০ রিয়াল। কর: বার্ষিক নেট আয়ের উপর ২০% কর প্রযোজ্য। ট্রেডিং লাইসেন্সের জন্য খরচ: প্রথম বছর: সকল ডকুমেন্টস, সরকারি ফি এবং সৌদি বিজনেস কনসালটেন্ট এর সার্ভিস চার্জ মিলিয়ে ৭৫,০০০ রিয়াল। পরবর্তী বছর থেকে: সরকারি নবায়ন ফি ৬২,০০০ রিয়াল। কর: বার্ষিক নেট আয়ের উপর ২০% কর প্রযোজ্য।